১৬. ইঞ্জিন (engine) কাকে বলে ? ইঞ্জিন কত প্রকার ? Four stroke system ? ইঞ্জিনের খুচরা যন্ত্রাংশের নাম লিখ ।


ইঞ্জিনঃ এটি এমন একটি যান্ত্রিক কৌশল যা তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে নিজে চলে এবং অপরকে চলতে সাহায্য করে তাকে ইঞ্জিন বলে ।
প্রকারভেদঃ ইঞ্জিন সাধারণত দুই প্রকার ।
1. Internal combustion engine.
2. External combustion engine.
1. Internal combustion engine: যে ইঞ্জিন এর জ্বালানী ইঞ্জিন এর ভিতরে পুরানো হয় তাকে internal combustion engine বলে যেমনঃ পেট্রোল ইঞ্জিন, ডিজেল ইঞ্জিন ইত্যাদি
2. External combustion engine : যে ইঞ্জিনের জ্বালানী ইঞ্জিন এর বাইরে পুরানো হয় তাকে external combustion engine বলে যেমনঃ স্টীম ইঞ্জিন ।
Four stroke system কাকে বলে
    Stroke piston cylinder bore  এর মধ্যে T.D.C হতে B.D.C পর্যন্ত নামাকে stroke বলে।
Stroke system কে সাধারণত 4 ভাগে ভাগ করা হয়ঃ-
1.     Suction stroke .
2.     Compression stroke .
3.    Power stroke .
4.     Exhaust stroke .

   1. Suction stroke : strok এর ইন-লেট ভাল্ব খোলা থাকে এবং আউট-লেট ভাল্ব বন্ধ থাকে পিস্টন উপর থেকে নীচের দিকে নামবে। পিষ্টন এবং বাতাসের মিশ্রণ ইন-লেট ভাল্ব এর মধ্য দিয়ে সিলিন্ডারে প্রবেশ করবে ।
2. Compression stroke : এ stroke এর দুটি ভাল্বেই বন্ধ থাকবে । পিস্টন উপর দিকে উঠবে এবং মিশ্রণ এর উপর চাপের সৃষ্টি করবে ।
3. Power stroke : stroke এর দুটি ভাল্বেই বন্ধ থাকে । পিস্টন মিশ্রণ এর উপর এত বেশি চাপের সৃষ্টি করবে যে, মিশ্রণটি গ্যাসে পরিণত হবে এবং স্পার্কিং ফ্ল্যাগ এর মধ্যমে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গের সাহায্যে উক্ত গ্যাস আগুন ধরিয়ে দেবে । মুহূর্তে ওখানে একটি শক্তি উদ্ভব হবে এবং পিস্টন কে সজোরে নিচের দিকে ধাক্কা দিবে ।
4. Exhaust stroke : stroke এর দুটি ভাল্বেই বন্ধ থাকে এবং আউটলেট বাল খুলা থাকে পিস্টন উপর দিকে উঠবে । এর সিলিন্ডারে পুরা গ্যাস আউটলেট ভাল্ব এর মধ্য দিয়ে মুক্ত আকাশে ছড়িয়ে পড়বে ।
 ইঞ্জিনের খুচরা যন্ত্রাংশের নামঃ
1. Carburetor : এটি ইঞ্জিন এর একটি খুচরা যন্ত্রাংশ এর প্রধান কাজ পরিমাণমতো বাতাস পেট্রোলের মিশ্রণ তৈরি করে ইঞ্জিন পরিচালনার জন্য সরবরাহ করা ।
2. Petrol tank : এটি পেট্রোল রাখার জন্য একটি পাত্র যা ইঞ্জিনের উপরিভাগের লাগানো থাকে এর নিচে পেট্রোল কন্ট্রোল ভাল্ব লাগানো থাকে যা খুলে দিলে কার্বুরেটরের পেট্রোল যায় এবং বন্ধ করে দিলে পেট্রোল যেতে পারে না ।
3. Petrol control valve : পেট্রল ট্যাঙ্ক এর নিচে পেট্রোল লাইনের সঙ্গে এটি লাগানো থাকে যা দ্বারা পেট্রোল এর প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ভাল্ব ইঞ্জিন চলার সময় খোলা রাখতে হয় এবং ইঞ্জিন বন্ধ করলে এটি বন্ধ করে দিতে হয় ।
4. Governor : ইঞ্জিন এর আউটপুট অনেক সময় প্রয়োজন বশতঃ পরিবর্তন করতে হয় গভর্নরের আর্মেচারের গতিবেগ পরিবর্তন করে আউটপুট পরিবর্তন করা যায় । আবার আর্মেচারের গতি পরিবর্তন নির্ভর করে জ্বালানি সরবরাহের পরিমাণ এর উপর এবং জ্বালানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয় গভর্নর এর দ্বারাঅতএব সংক্ষেপে বলা যেতে পারে যার দ্বারা ইঞ্জিন এর গতি আউটপুট পরিবর্তন করা যায় তাকেই গভর্নর বল ।
5. On off switch : এটি এমন একটি উপায় যার দ্বারা ইঞ্জিন চালু এবং বন্ধ করা যায় ইঞ্জিন চালু করার সময় এর সুইচ অন অবস্থায় রাখতে হয় এবং বন্ধ করার সময় অফ অবস্থায় রাখতে হয় ।
6. Mobil filling & draining : ইঞ্জিন ভালোভাবে চলার জন্য পরিমাণমতো মবিল প্রয়োজন হয় একটি পুরাতন ইঞ্জিন 24 ঘন্টা চলার পর মবিল পরীক্ষা করে পরিবর্তন করতে হয় কিন্তু একটি নতুন ইঞ্জিন এর মবিল  52 ঘন্টা চলার পর পরিবর্তন করতে হয় ।
7. Needle valve : এটি ইঞ্জিন এর একটি খুচরা যন্ত্রাংশ । যা ইঞ্জিনের মিক্সার এর অনুপাত নিয়ন্ত্রণ করে ইঞ্জিনের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ।
8. Air cleaner : কার্বুরেটর যে বাতাস প্রবেশ করে তাকে পরিষ্কার করা এর কাজএয়ার ক্লিনার এর স্পঞ্জ বা নেট মবিল ধারা সিক্ত অবস্থায় থাকে ফলে বাতাসের ধুলাবালি মবিলের সংস্পর্শে আসলে উহার সাথে আটকায়া যায় এবং পরিষ্কার বাতাস প্রবেশ করে ।
9. Air choke : এটি এয়ার ক্লিনারের একটি চাবি যার দ্বারা এয়ার ক্লিনারের বাতাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয় ইঞ্জিন চালু করার সময় ইয়ার সক খুলে রাখতে হয় ।
10. Fly wheel : এটি একটি ভাড়ী চাকা । যা মেইন শ্যাফটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এর প্রধান কাজ ইঞ্জিন চলার গতি ঠিক রাখা এবং আইডিয়াল স্ট্রোকে পিষ্টনকে পরিচালনা করা এটি ফেজেড স্টিলের তৈরী  ফ্লাই হুইল ঘোরার সময় উহার ফ্যানস গুলো বাতাস টেনে নেই এবং ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ।
11. Main shaft : এটি ইঞ্জিন এর একটি প্রধান যন্ত্রাংশ যা ঢালাই লোহার তৈরি । মেন শ্যাফট ঘোরার ফলে পিস্টন সিলিন্ডারের মধ্যে ওঠানামা করে এবং ফ্লাই হুইল মেইন শ্যাফটের এক প্রান্তে লাগানো থাকে । পিস্টনের কানেক্টিং রড বিগ এন্ড বেয়ারিং মেইন শ্যাফটের মাঝখানে লাগানো থাকে ।
12. Piston : এলমুনিয়াম অথবা কাস্ট আয়রন দ্বারা তৈরি । এটি বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে । এটি সিলিন্ডারের মধ্যে অবস্থান করে এবং কানেক্টিং রডের বিগ এন্ড বেয়ারিং এর সাহায্যে মেইন শ্যাফট এর সাথে সংযুক্ত  থাকে যার ফলে পিস্টন সিলিন্ডারের মধ্যে উঠানামা করলে মেইন শ্যাফট ফ্লাই হুইল ঘুরতে থাকে।
13. C.B point : এটি এমন একটি উপায় যা ইগ্নেশন কোয়েলের সার্কিটকে যথা সময়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এটি ফ্লাগ এর দ্বারা কৌশল এর সাথে পরিচালিত হয় । সি ভি পয়েন্টের গ্যাপ 01 ইঞ্চির 0. 020 ভাগ থাকে ।
14. Oil Deeper : এটি একটি সরু কাঠির মতো যা বিগ এন্ড বেয়ারিং এর সাথে সংযুক্ত থাকে । অয়েল চেম্বার হতে প্রয়োজনীয় মবিল ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ছিটিয়ে দেয়, উঠানামা করে এবং মধ্যের ফাঁকা জায়গা পূরণ করে যার ফলে এর মধ্যকার গ্যাস বের হতে পারে না । একটি পিস্টন এর সাথে দুটি কম্প্রেসিং রিং এবং একটি অয়েল রিং লাগানো থাকে যার ফলে নিচের মবিল সিলিন্ডার হেড উঠতে পারে না ।
15. sparking plug : এটি একটি ইঞ্জিন এর খুচরা যন্ত্রাংশ যা সিলিন্ডার এর উপরে লাগানো থাকে এর নিচের দিকে সামান্য একটু ফাঁকা থাকে যার দ্বারা বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গের সাহায্যে সিলিন্ডারের ভিতর জ্বালানি প্রজ্বলিত করে বিস্ফোরণ ঘটায় ফলে এক প্রকার শক্তি সৃষ্টি হয় এর 1 ইঞ্চি .025 ভাগ হবে ।

Comments

Popular posts from this blog

১৭. অনু ও পরমানু বলতে কি বুঝ ? পরমানু ভাঙ্গলে কি কি পাওয়া যায় ? পরমানুর গঠন প্রনালী অনু ও পরমানুর পার্থক্য ।

৫. ওয়াই-ফাই(Wi-Fi) কি ? সুবিধা ও অসুবিধা ।

৮. মাইক্রোওয়েভ (Microwave) প্রকারভেদ ও স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ