৬. ব্লু-টুথ ( Bluetooth ) কি । বৈশিষ্ট ও ব্যবহার ।


ব্লু-টুথ ( Bluetooth )- ব্লুটুথ হচ্ছে একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যার মাধ্যমে একটি ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN)  সৃষ্টি করা যায়। এর দূরত্ব সাধারণত ১০ থেকে ১০০ মিটার হয়ে থাকে। বিভিন্ন ডিভাইসে USB পোর্টের মাধ্যমে  ব্লুটুথ সংযোগ দেয়া হয়। ১৯৯৪ সালে টেলিকম ভেন্ডর এরিকসন ব্লুটুথ উদ্ভাবন করে। দশম শতাব্দির ডেনমার্কের রাজা হারাল্ড ব্লুটুথ এর নামানুসারে প্রযুক্তিটির নাম রাখা হয়েছে  ব্লুটুথ। এর ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রায় মেগাবিট/সেকেন্ড বা তারচেয়ে বেশি।
ব্লুটুথের বৈশিষ্ট্য
১। স্বল্প দূরত্বে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরে ব্লুটুথ রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে।
২। ব্লুটুথ . গিগাহার্টজ (GHz) ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে।
৩। ১০-১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থানকারী ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
৪। ব্লুটুথ একটি পিকোনেট এর আওতায় সর্বোচ্চ ৮টি যন্ত্রের সাথে সিগন্যাল আদান-প্রদান করতে পারে।
৫। এটি IEEE 802.15.1 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN)
ব্লুটুথের  ব্যবহার
১। ফোনের সাথে হ্যান্ডস ফ্রি হেডসেটের সংযোগ সাউন্ড বা ভয়েস ডেটা স্থানান্তরে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
২। ফোন থেকে কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তরে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
৩। ব্লুটুথ ব্যবহার  করে কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য ডিভাইসের সংযোগ ঘটানো যায় এবং তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
৪। পিসির ইনপুট আউটপুট ডিভাইসগুলোর সাথে তারবিহীন যোগাযোগে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
৫। জিপিএস রিসিভার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, বারকোড স্ক্যানার ট্রাফিক কন্ট্রোল ডিভাইসগুলোতে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়
৬। ডেডিকেটেড টেলিহেলথ ডিভাইসগুলোতে হেলথ সেন্সর ডেটাগুলোর শর্ট রেঞ্জ ট্রান্সমিশনে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
৭। প্রায়ই ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয় এমন স্থানে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।

Comments

Popular posts from this blog

১৭. অনু ও পরমানু বলতে কি বুঝ ? পরমানু ভাঙ্গলে কি কি পাওয়া যায় ? পরমানুর গঠন প্রনালী অনু ও পরমানুর পার্থক্য ।

৫. ওয়াই-ফাই(Wi-Fi) কি ? সুবিধা ও অসুবিধা ।

৮. মাইক্রোওয়েভ (Microwave) প্রকারভেদ ও স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ