১৯. রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে? রেজিস্ট্যান্স কি?রেজিস্ট্যান্স এর প্রধান কাজ কী? রেজিস্ট্যান্সের প্রতীক এবংএকক কি? রেজিস্ট্যান্স এর প্রকারভেদ? রেজিস্ট্যান্স সার্কিটের সংযোগ পদ্ধতি? কালার কোড রেজিস্ট্যান্স।


                     রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে :-পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম অথবা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয় তাকেই রেজিস্ট্যান্স বলে।

                      রেজিস্ট্যান্স কি:- রেজিস্ট্যান্স একটি ইংরেজিশব্দ,যার বাংলা অর্থ হচ্ছে রোধক, এটা বাধা প্রধানকারী একটা ডিভাইস। পরিবাহির মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধা প্রধানকারী ডিভাইস কে রেজিস্ট্যান্স বলে।

রেজিস্ট্যান্স এর প্রকাশ,প্রতীক ও একক:-
রেজিস্ট্যান্স এর প্রতীককে R দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে এবং রেজিস্ট্যান্স এর একক (Ω) ওহম দ্বারা (Ohm) প্রকাশ করা হয়।

রেজিস্ট্যান্স এর কাজ:- 

সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহর সময় বাধা প্রধান করা বা Voltage drop ঘটানো রেজিস্ট্যান্স এর প্রধান কাজ। অনেক সময় নির্দিষ্ট  লোড চালানোর জন্য  কোন সার্কিটে  কম ভোল্ট বা কারেন্ট প্রবাহের প্রয়োজন পরে তখন রেজিস্ট্যান্স ব্যবহার করে উক্ত লোড চালনো হয় উদাহারন স্বরুপ বলা যায় যে , ধরুন একটা সার্কিটে LED ( লাইট ইমেটিং ডায়োড ) লাইট আছে যার ভোল্টেজ রেঞ্জ 2 থেকে 4 ভোল্ট। কোন কারনে যদি সোর্স ভোল্টেজ 4 ভোল্টের চেয়ে বেশি চলে আসে তখন কম্পোনেন্ট LED ( লাইট ইমেটিং ডায়োড ) টি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । এটি যাতে না ঘটে সে জন্য রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়। রেজিস্ট্যান্স LED ক্ষেত্রে 4 ভোল্টের বেশি ভোল্টেজ কে ড্রপ করে দিবে। রেজিস্টর প্রয়োজন মোতাবেক ভোল্টেজ ও কারেন্ট সরবরাহ করে থাকে। রেজিস্ট্যান্স মূলত সকল প্রকার ইলেকট্রিক্যাল পার্টস বা সার্কিটে ক্ষেত্রে এই ধরনের কাজগুলো করে থাকে।

রেজিস্ট্যান্স এর প্রকারভেদ :-
রেজিস্ট্যান্স কে সাধারনত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
যথা,
1. একটি ফিক্সড রেজিস্ট্যান্স।
2. আরেকটি ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স।

★ ফিক্সড রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে :-


যে রেজিস্ট্যান্সের মান ফিক্সড থাকে অথবা যার মান পরিবর্তন করা কখনো সম্ভব না তাকে ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল রেজিস্ট্যান্স বলে।

ফিক্সড রেজিস্ট্যান্স আবার 9 প্রকার।
যথা,
1. কার্বন কম্পোজিট।
2. কার্বন পাইল।
3. কার্বন ফিল্ম।
4. প্রিন্টেড কার্বন।
5. থিক এবং ফিল্ম।
6. মেটাল ফিল্ড।
7. মেটাল অক্সাইড ফিল্ড।
8. ওয়্যার উন্ড।
9. ফয়েল।

★ ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে:-


যে রেজিস্ট্যান্সের মান এবং প্রয়োজন অনুসারে কমানো-বাড়ানো সম্ভব তাকেই ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স অথবা পরিবর্তনশীল রেজিস্ট্যান্স বলা হয়।

ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স 3 প্রকার।
1.এডজাস্টেবল।
2. পটেনশিওমিটার।
3. রেজিস্ট্যান্স ডিকেড বক্স।

রেজিস্ট্যান্স সার্কিটে সংযোগ পদ্ধতি দুইভাবে করা হয়

সিরিজ সার্কিট সংযোগ :-
সিরিজ একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ হলো ধারাবাহিকভাবে। তাহলে এই ক্ষেত্রে একাধিক লোড বা রেজিস্ট্যান্স একের পর এক বৈদ্যুতিক সোর্সের সাথে সংযুক্ত করে কারেন্ট প্রবাহের একটি পথ বা রাস্তা তৈরি করে।

প্যারালাল সার্কিটে সংযোগ :- একাধিক লোড বা রেজিস্ট্যান্স বৈদ্যুতিক উৎসের সাথে আড়া -আড়ি ভাবে যুক্ত করা হয়, যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ বা রাস্তা থাকে 

রেজিস্ট্যান্স এর কালার কোড ঃ-



Comments

Popular posts from this blog

১৭. অনু ও পরমানু বলতে কি বুঝ ? পরমানু ভাঙ্গলে কি কি পাওয়া যায় ? পরমানুর গঠন প্রনালী অনু ও পরমানুর পার্থক্য ।

৫. ওয়াই-ফাই(Wi-Fi) কি ? সুবিধা ও অসুবিধা ।

৮. মাইক্রোওয়েভ (Microwave) প্রকারভেদ ও স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ