২৬. ইলেকট্রোম্যাগনেট কি বৈদ্যুতীক পাখা সর্বক্ষন ঘুরিতে থাকে । ইহার গতি নিয়ন্ত্রন করা যায় ।
কোন ধাতব বস্তুর
উপর পরিবাহী তারের কুন্ডলী পেছিয়ে অন্য কোন ধাতব বস্তুর কাছা কাছি এনে পরিবাহির মধ্যে
বিদ্যুৎ প্রভাহিত করিলে পরস্পরে মধ্যে যে আকর্ষন এবং বিকর্ষন শক্তি তৈরী হয় । তাহাকে
ইলেক্টিক ম্যাগনেট বলে ।
১৮২০ সালে ডেনিস
আবিস্কারক ওয়েরষ্টেড ( Oersted ) প্রথম ইহা লক্ষ করেণ যে, কোন
তারের মধ্যদিয়া । বিদ্যুৎ প্রবাহিত করিয়া সে
তারের পার্শ্বে কোন ছোট নিডল ম্যগনেট বা সুচ চুম্বক সমান্তরাল ভাবে ঝুলাইয়া রাখিলে
ঐ সুচ চুম্বকটি এক পার্শ্বে তারের দিকে আকৃষ্ট হয় । এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ ঘুরাইয়া দিলে
তারটি চুম্বকটির বিপরীত প্রান্তকে আকর্ষন করে । ইহাতে তিনি বুঝিলেন যে, বিদ্যুৎ প্রভাহের
সময় ঐ তারে চুম্বকত্ব সৃষ্টি হইতেছে । আরও পরিক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা যায় যে, কোন পরিবর্তনশীলকে
কুন্ডলী আকারে প্যাচাইয়া ইহাতে বিদ্যুৎ প্রয়োগ করিলে কুন্ডলী শক্তিশালী চুম্বকে পরিনত
হয় ।এবং ইহার মধ্যে কোন লৌহ দন্ড রাখিলে উক্ত লৌহ দন্ডটি একটি শক্তিশালী চুম্বকে পরিনত
হয় ।উহার বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করিলে কুন্ডলটি ইহার চুম্বকত্ব হারাইয়া ফেলে ।তাহাকে
ইলেক্টিক ম্যাগনেট বলে ।
বৈদ্যুতীক পাখা
কি ভাবে এবং কেন সর্বক্ষন ঘুরতে থাকে ।
বৈদ্যুতীক পাখার
ভিতরে একটি আর্মেচার থাকে । উক্ত আর্মেচারের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিবাহী তার এর কুন্ডলী
তৈরী করা হয় ।যার মধ্যে পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ প্রয়োগ করার ফলে উক্ত আর্মেচার বা কয়েলের
মধ্যে চুম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় । এই সৃষ্ট চুম্বক ক্ষেত্রের ধর্ম সমমেরুকে বিকর্ষন
এবং বিপরীত মেরুকে আকর্ষন করে।এই বিকর্ষন এবং আকর্ষন এর ফলে বৈদ্যুতীক পাখার আর্মেচারটি
ঘুরতে থাকে । এই ভাবে যতক্ষন পরযন্ত বিদ্যুতীক পাখায় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে ততক্ষন পরযন্ত
এই পাখা ঘুরতে থাকে ।
কিভাবে নিয়ন্ত্রন
করা যায়ঃ
বৈদ্যুতিক পাখাকে
নিয়ন্ত্রন করার জন্য প্রথমত ইলেক্টিক সুইচ ব্যবহার করতে হবে । এ ছাড়াও রেগুলেটর ব্যবহার
করে বৈদ্যুতীক পাখাকে নিয়ন্ত্রন করা যায় ।

Comments