৮. মাইক্রোওয়েভ (Microwave) প্রকারভেদ ও স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ


মাইক্রোওয়েভ:মাইক্রোওয়েভ হল ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্ষুদ্র তরঙ্গ ওয়েভ যা সেকেন্ডে প্রায় গিগা বা তার চেয়ে বেশিবার কম্পন বিশিষ্ট। মাইক্রোওয়েভ সংযোগ ব্যবহার করে  ডেটা, ছবি, শব্দ স্থানান্তর করা সম্ভব। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটো ট্রান্সসিভার নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং অন্যটি রিসিভ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। মাইক্রোওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ হচ্ছে ৩০০ MHz−৩০০GHz মাইক্রোওয়েভের এন্টিনা সু-উচ্চ  কোনো  ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে  এবং পথে কোনো বস্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
Microwave 
মাইক্রোওয়েভের বৈশিষ্ট্য-
১। মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলতে পারে না।
২। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটো  ট্রান্সসিভার  নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং অন্যটি রিসিভ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
৩। মাইক্রোওয়েভ মাধ্যমে প্রেরক প্রাপকের মধ্যে কোনো বাধা থাকলে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না।
৪। মাইক্রোওয়েভের এন্টিনা বড় কোনো  ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বেশি  দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
মাইক্রোওয়েভ দুই প্রকার। যথা
১। টেরেস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ
২। স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ
১. টেরেস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ: এই ধরণের প্রযুক্তিতে ভূপৃষ্টেই ট্রান্সমিটার রিসিভার বসানো হয়। ট্রান্সমিটার রিসিভার দৃষ্টি রেখায় যোগাযোগ করে। কোনো বাধা না থাকলে থেকে ৫০ মাইল পযর্ন্ত ডেটা চলাচল করতে পারে।
২. স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ: এক্ষেত্রে সিগনাল পাঠানোর জন্য ভূ-পৃষ্ঠে থাকে স্যাটেলাইট এন্টেনা এবং শূণ্যে তাকে স্যাটেলাইট। মহাশুণ্যে অবস্থিত স্যাটেলাইট ভু-পৃষ্ঠের ডিশ এন্টনার মধ্যে দুরত্ব প্রায় ৫০, ০০০ কিঃ মিঃ
স্যাটেলাইটের ব্যবহার-
১। টেলিভিশন সিগন্যাল পাঠানোর কাজে।
২। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
৩। ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে।
৪। আবহাওয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণে

Comments

Popular posts from this blog

৫. ওয়াই-ফাই(Wi-Fi) কি ? সুবিধা ও অসুবিধা ।

১৭. অনু ও পরমানু বলতে কি বুঝ ? পরমানু ভাঙ্গলে কি কি পাওয়া যায় ? পরমানুর গঠন প্রনালী অনু ও পরমানুর পার্থক্য ।